শিক্ষকদের কোচিং-প্রাইভেট বন্ধ চান কাজী খলীকুজ্জমান

প্রথম আলো প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২২, ১৮:৪৮

প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে শিক্ষকদের কোচিং-প্রাইভেট বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।


আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন, ২০২২ বিষয়ে নাগরিক সমাজের ‘অবস্থানপত্র’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী খলীকুজ্জমান এ কথা বলেন। শিক্ষা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মোর্চা গণসাক্ষরতা অভিযান ও এডুকেশন ওয়াচ যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। কাজী খলীকুজ্জমান এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন। তিনি পিকেএসএফেরও চেয়ারম্যান।


কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, ‘আমাদের পরিষ্কার অবস্থান হচ্ছে, এটি (নোট গাইড-কোচিং-প্রাইভেট) ক্ষতি করছে। বলেছি, মোটেও কোচিং চলবে না। আমরা চাই, শিক্ষা মানে বুঝতে হবে, চিন্তা-ভাবনা করতে হবে, প্রশ্ন করতে হবে। কোচিং যদি থাকে, সেটি করার সুযোগ নেই। যদি নোট বুক থাকে, তাহলে সেটি করার সুযোগ নেই। তবে একটি সহায়ক বই থাকতে পারে, অতীতেও ছিল। কিন্তু সেটির ওপর নির্ভর করে যদি পরীক্ষা হয় এবং আরেকজন শিক্ষক যদি কোচিংয়ের মাধ্যমে সেটি গিলিয়ে দেন, তাহলে তো শিক্ষা হবে না।’


বর্তমানে দেশের শিক্ষা কার্যক্রম নোট-গাইড পড়ে মুখস্থ করে পরীক্ষা দেওয়া এবং জিপিএ-৫–ভিত্তিক বলে মন্তব্য করেন কাজী খলীকুজ্জমান। তিনি বলেন, এখানে শিক্ষা কীভাবে হয়? একটি হচ্ছে, নোট-গাইড পড়ে মুখস্থ করে পরীক্ষা দেয়, জিপিএ-৫–ভিত্তিক শিক্ষা। পরীক্ষা দিতে দিতে শেখার সময় নেই। শিক্ষার্থীর মা–বাবা, শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়, কতটা জিপিএ-৫ পেল? কাজেই জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য মুখস্থ করানো হয়। এর বাইরে কিছু জানে না। কিন্তু আসল শিক্ষা হচ্ছে, যা পড়ে বোঝা যাবে, বোঝার পর বিবেচনায় এবং চিন্তা-ভাবনা করতে হবে এবং প্রশ্ন উত্থাপন করতে হবে। এটিই সারা বিশ্বে হয়, কিন্তু এখানে এটির সুযোগ নেই, নষ্ট হয়ে গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us