অতীতে গ্রামে সব ধরনের খাবার যেমন শাকসবজি, ফলমূল, হাঁস-মুরগি, দুধ ইত্যাদি সহজলভ্য ছিল। কিছু খেতে ইচ্ছে হলে কখনো ভাবিনি যে ‘এটা খাওয়া যাবে না’ বা ‘ওটা খেলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’ মনের আনন্দে যখন যেটা খুশি সেটা খেয়েছি কোনো সমস্যা ছাড়াই। সে সময়ও ভেজাল নিয়ে কথা হয়েছে বটে। যেমন, মসুরের মধ্যে বাজারির মিশ্রণ, দুধে পানি মেশানো, পাট কম শুকানো, সরিষার তেলের সঙ্গে অন্য তেল মেশানো ইত্যাদি। স্কুলে পরীক্ষার হলে মাঝেমধ্যে কেউ কেউ নকল করেছে। যদি ধরা খেয়েছে এ অপরাধের কারণে প্রতিবেশী থেকে শুরু করে গ্রামে সেটা রটে গেছে। সে এক লজ্জার কথা! এসব ছিল তখনকার দিনে ঘৃণ্য অপরাধ।
এখন অধিক মুনাফার আশায় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন মসলায় বিষাক্ত রং, ধানের তুষ, ইট ও কাঠের গুঁড়া, মটর ডাল ও সুজি ইত্যাদি মেশায়। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার ও ফলমূল আকর্ষণীয় ও দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য ক্ষতিকর কার্বাইড, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং, ফরমালিন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। ভেজাল মসলা কিনে ক্রেতারা শুধু প্রতারিতই হচ্ছেন না, এতে তৈরি হচ্ছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি।