বন্যায় বাড়ি ভেঙে গেছে। ব্রহ্মপুত্র নদের কিনারে পড়ে ছিল একটি কদমগাছ। সেই গাছ কেটে খড়ি বানিয়ে নৌকায় করে বিক্রি করতে এনেছেন জসমত আলী। খড়ি বেচলে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা হবে। সেই টাকা দিয়ে চাল, ডাল আর লবণ কিনে বাড়ি ফিরবেন।
ষাটোর্ধ্ব দিনমজুর জসমত আলীর সঙ্গে দেখা মোল্লার হাটে। তাঁর বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রবেষ্টিত বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে। ব্রহ্মপুত্র তাঁর জমিজিরাত কেড়ে নিয়েছে। এখন বতুয়াতলীর চরে অন্যের জমিতে থাকেন। তাঁর সম্বল বলতে আছে শুধু দুটি টিনের ঘর।
জসমত বললেন, ‘নদী ভাঙছে ১০–১৫ বারের বেশি ছাড়া কম হবার নয়। অভাবত পড়ি, ঘরবাড়ি সরার লাগে গরু–ছাগল বিক্রি করা নাগে। বন্যা ও নদীভাঙন হামার সব শ্যাষ করি দিছে।’