‘বর্ষাকালে বৃষ্টি নাই। ধানখেতে ধানের চারা শুকিয়ে মারা যাচ্ছ। কৃষকেরা হাহুতাশ করছেন। এখন তাঁরা কী করতে পারেন?’
‘এখন তাঁরা কী করবেন, এটা তাঁরা ভালো জানেন। রবীন্দ্রনাথের “জুতা আবিষ্কার” কবিতা থেকে আমরা শিক্ষা পাই, বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধান স্থানীয় মানুষেরাই ভালো জানেন। পণ্ডিতেরা এই সব সমস্যার সমাধান ঠিকঠাক দিতে পারেন না। রাজা বলেছিলেন, তাই যদি না হবে, পণ্ডিতেরা রয়েছে কেন তবে? কিন্তু বাস্তবে পণ্ডিতেরা সবকিছু পণ্ড করেন। আর চর্মকার সমস্যার সমাধান করে দেখাতে পারেন। কৃষকই বলুন না, তারা এখন কী করবেন?’
‘তারা বলছেন, তারা সেচ দেবেন। ধানখেতে পানি সেচতে হবে।’
‘তাহলে তারা পানি সেচের ব্যবস্থা করুক।’
‘সে জন্য তারা পাম্প বসাচ্ছেন। কিন্তু সমস্যা আছে?’
‘কী সমস্যা?’
‘লোডশেডিং। যদিও বলা হচ্ছে, এক ঘণ্টা লোডশেডিং হবে, গ্রামে-গঞ্জে আসলে লোডশেডিং হচ্ছে অনেক বেশি।’
‘তাহলে তো মুশকিল। সে সমস্যার সমাধান কৃষকেরা কীভাবে করছেন?’
‘তারা ডিজেলচালিত পাম্প বসাচ্ছেন।’