ঢাকায় একটি বাড়ির স্বপ্ন কার না আছে? সাধ্য ও সামর্থ্যের মধ্যে থাকলে সবাই এখানে বাড়ির মালিক হতে চায়। যদিও বেশিরভাগেরই অধরা থেকে যায় এ স্বপ্ন। সারা জীবনের সঞ্চয় ভেঙে বা ব্যাংক থেকে ঋণ করে কেউ কেউ হয়তো স্থায়ী একটি ঠিকানা এখানে পান। কিন্তু একজন সরকারি কর্মকর্তা যদি চাকরিরত অবস্থায়ই ৯টি ফ্ল্যাট ও দুটি প্লটের মালিক হয়ে যান ঢাকা শহরে, তাকে কী বলবেন?
অনেকটা আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ পাওয়ার মতো এমন ঘটনা ঘটেছে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের ক্ষেত্রে। মনে হচ্ছে সরকারি দপ্তরের দায়িত্ব সামলানোর ফাঁকে রূপকথার সেই প্রদীপের মতো কোনো একটি প্রদীপ তিনি পেয়ে গেছেন। না হলে কী করে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তিনি!
বিপুল এ সম্পদ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান চলাকালে কালো টাকা সাদা করার সুযোগও নিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। আয়কর আইনের আওতায় জরিমানা দিয়ে ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বসুন্ধরা ও হাজারিবাগের ৬টি ফ্ল্যাটের মালিক ঘোষণা দিয়ে সম্পত্তি বৈধ করেছেন তিনি।