ভারতে উচ্চ ও উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণি স্বাধীনতার পরের সাত দশকে একটা ‘মতবাদ’ প্রতিষ্ঠা করেছে—আর যা–ই হোক, ভারতে কখনো অন্য অনেক দেশের মতো গণতন্ত্র বাঁচানোর তিন প্রধান প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়বে না। প্রতিষ্ঠান বলতে এখানে ‘এক্সিকিউটিভ’ বা সরকার ও সরকারি কার্যনির্বাহক, ‘লেজিসলেচার’ বা জাতীয় আইনসভা এবং রাজ্যের বিধানসভা এবং বিচারব্যবস্থাকে বোঝানো হচ্ছে।
গত আট বছরে বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি) বুঝিয়ে দিয়েছে, কোন মূর্খের স্বর্গে ভারতের জনসংখ্যার হারে ক্ষুদ্র সুশীল সমাজ, কংগ্রেস ও বামমনস্ক প্রগতিশীল, গান্ধীবাদী তাত্ত্বিক, পশ্চিমি গণতন্ত্র ও প্রগতিশীল দর্শনে বিশ্বাসী সমাজবোদ্ধারা বাস করছিলেন। সমাজের একেবারে নিচের অংশে বা তার সামান্য ওপরে ভেসে থেকে রোজ কোনোক্রমে বেঁচে থাকার লড়াই চালানো সংখ্যাগরিষ্ঠের যে ভারতের গণতন্ত্র, সংবিধান বা বিচারব্যবস্থার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই এবং সেই কারণে তা বাঁচানোর দায়বদ্ধতাও নেই, এটা বুদ্ধিজীবীরা গত কয়েক বছরে বুঝেছেন। এর জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ।