পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকেরা ক্ষুব্ধ। পশ্চিমা অভিজাতরা, যাঁরা তাঁদের দেশকে ঠিক পথে পরিচালিত করেন বলে মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে তাঁরাই বেঠিক পথে তাঁদের দেশকে ঠেলে দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে বিচক্ষণ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
ভালোর শত্রু কারা—সরল এই নীতির ওপর ভিত্তি করে নিখুঁত সমাধান নেওয়া হয়। কিন্তু শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭-কে এখন অবশ্যই নিখুঁত সমাধান থেকে বেরিয়ে এসে একটা খুঁতযুক্ত সমাধান খুঁজে বের করতে হবে, যেটা তাদের জনসাধারণকে সুখী করতে পারে। একই সঙ্গে তৃতীয় বিশ্বের কয়েক শ কোটি মানুষ, যারা খাবার ও জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে, তাদের জন্যও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে নিচের স্তরে থাকা ১০-২০ ভাগ গরিব মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টিকে এখন নৈতিকভাবে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সাম্প্রতিক কালের আমেরিকান রাজনৈতিক-দার্শনিক জন রাউল বলেছেন, ‘আমরা সেই সমাজকেই ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বলতে পারি, যে সমাজ তাদের সবচেয়ে নিচের ১০ ভাগ মানুষকে দেখভাল করে।’ তাঁর প্রভাবশালী তত্ত্ব হলো, ‘আ থিওরি অব জাস্টিস’। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন, যেকোনো সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসমতার ক্ষেত্রে ন্যায্যতার নীতি প্রয়োগ করা গেলে সমাজের সবচেয়ে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে সবচেয়ে বড় সহায়তাটা করা যায়।