ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর ৩৫৬টি পণ্য আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ। এখন থেকে ডি-৮ সদস্য দেশের এসব পণ্য ১০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে দেশের বাজারে প্রবেশ করতে পারবে। এতদিন ধরে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল।
ডি-৮ হল উন্নয়নশীল আটটি দেশের জোট। জোটের সদস্য দেশের মধ্যে রয়েছে মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক ও বাংলাদেশ। পারস্পারিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য ২০১১ সালে এসব দেশের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বা প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট হয়।
চুক্তিতে এক দেশের পণ্য অন্য দেশে কম শুল্কে বাজারে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার শর্ত রয়েছে। শুল্ক ছাড়ের তালিকা প্রস্তুত করতে বাংলাদেশের দেরি হয়েছে। এর আগে জোটের সদস্য মিশর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও তুরস্ক শুল্ক ছাড় ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের কিছু পণ্য কম শুল্কে এসব দেশের বাজারে প্রবেশের সুযোগ পায়। যদিও তুরস্কের বাজারে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বেশিরভাগ পণ্য শুল্ক মুক্ত সুবিধায় প্রবেশের সুবিধা পেয়ে আসছে।
আগামীকাল বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ডি-৮ এর ২০তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। এতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা তাদের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। সম্মেলনের আগেই বাংলাদেশের শুল্ক সুবিধার তালিকা প্রকাশ করলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এসব পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বীজ, খাদ্যশস্য, সামুদ্রিক শৈবাল, বীট, বাদামের তেল, সূর্যমুখী তেল, বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক, ডিম-দুধের অ্যালবুমিন, বিভিন্ন ফটো ফিল্ম, তুলা, সুতা, বিভিন্ন বর্জ্য ও স্ক্র্যাপ, ক্যামেরাসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী, স্নো-ক্রিম, নৌকার পাল, গলফ খেলার সরঞ্জাম ইত্যাদি।
এনবিআরের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ডি-৮ দেশগুলো থেকে কিছু পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমানোর ফলে রাজস্ব সংগ্রহে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। মূল চুক্তির শর্ত অনুযায়ী রুলস অব অরিজিন মেনে এসব পণ্য বাংলাদেশের বাজারে এলে তা দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।