সংশ্লিষ্ট বিভাগের যথাযথ সিদ্ধান্তের অভাবে আশুগঞ্জ-নবীনগর সড়কের নির্মাণব্যয় ও সময় দুটোই বাড়ছে। অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে প্রকল্পব্যয় ১৮৫ কোটি টাকা ও সময় দুই বছর বাড়ছে।
প্রকল্পটির ব্যয় ৪২১ কোটি টাকা থেকে ৬০৬ কোটি টাকায় দাঁড়ানোর ফলে ব্যয় বাড়ছে প্রায় ৫০ শতাংশ। সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন শেষে নির্মাণকাজ কখন শুরু হবে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সওজ জানিয়েছে, এখনও প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে ওঠেনি।
জেলা সদরসহ অন্যান্য উপজেলা থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা। এ উপজেলার সঙ্গে সড়কপথে জেলা সদর এবং রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের যাতায়াতে দুর্ভোগ লাঘবে নির্মিত হচ্ছে আশুগঞ্জ-নবীনগর সড়ক। ৪২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির নির্মাণকাজ ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় তা হয়নি।
তাই দুই বছর সময় বাড়ানোসহ ৬০৬ কোটি টাকার একটি নতুন সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। সওজের দাবি, ইতোমধ্যে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণকাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে এবং সড়ক নির্মাণে সংশ্নিষ্ট ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত প্রকল্পের কাজে গতি আসছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের সঙ্গে নবীনগর উপজেলার সরাসরি কোনো সড়ক যোগাযোগ নেই। ফলে নবীনগর একটি বিচ্ছিন্ন জনপদ। নবীনগর উপজেলা থেকে রাজধানী বা অন্য কোনো শহরে যেতে হলে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা অথবা পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ঘুরে নারায়ণগঞ্জের ভূলতা-ধনবাড়িয়া হয়ে আসতে হয়। উভয় দিকে উপজেলাবাসীকে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরতে হয়। শুধু তাই নয়, জেলা সদরে আসতে হলেও পাশের কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আসতে হয়। এতে স্থানীয়দের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।