রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বৈশ্বিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে চলে আসছে। প্রভাবশালী দেশগুলোর উত্থান-পতন নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার মনে করেন, পশ্চিমাদের একচ্ছত্র আধিপত্য শেষের পথে। অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে অংশিদারত্বেরভিত্তিতে শক্তিধর হয়ে উঠছে চীন, যা শতাব্দীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়।
ব্লেয়ার বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অথবা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ঐতিহাসিক সময় ছিল বিশ্বের জন্য। কিন্তু এই সময়ে এসে পশ্চিমাদের আগের প্রভাব বা আধিপত্য আর নেই। যুক্তরাজ্যের সাবেক এই প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব শেষের পথে। তিনি বলেন, বিশ্ব এখন দুইভাগ কিংবা বহুভাগে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে।
এ শতাব্দীতে বড় ভৌগোলিক রাজনৈতিক পরিবর্তন আসবে চীনের হাত ধরে, রাশিয়ার হাত ধরে নয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় হাজার হাজার নাগরিক নিহত হয়েছে। এ যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও পশ্চিমাদের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে, যা ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর আর দেখা যায়নি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে রাশিয়ার অর্থনীতিকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে পশ্চিমা দেশগুলো। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার চীনের পথে হাঁটবে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে সংঘাত এখনও চলছেই। তাছাড়া প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে ইউক্রেন থেকে মস্কোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি শিশু। ইউক্রেনের জাতীয় প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান মিখাইল মিজিনৎসেভ জানিয়েছেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ ছাড়াই হাজার হাজার ইউক্রেনীয়কে রাশিয়ায় নেওয়া হয়েছে।