রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষের কবিতা উপন্যাসে বলেছেন, ‘ফ্যাশনটা হলো মুখোশ…।’ তবে মুখোশ হলেও এর গুরুত্ব কিন্তু কম নয়।
সেই যে প্রচলিত প্রবাদ, ‘আগে দর্শনধারী, পরে গুণবিচারী’! একজন মানুষের ভেতরটা যতই আকর্ষণীয় হোক না কেন, সে দেখতে বাহ্যিকভাবে সুন্দর না হলে আমরা যেন ঠিক মুগ্ধ হতে পারি না। অন্যদিকে কেবল দেখতে সুন্দর বলে কত ফাঁপা মানুষের প্রতিও আমাদের তৈরি হয় প্রবল মুগ্ধতা। দৃষ্টিগ্রাহ্য সৌন্দর্যের প্রতি মানুষের এই অনুরাগ সহজাত। তাই যুগ যুগ ধরে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে মানুষ। এই চেষ্টা থেকেই তৈরি হয়েছে ‘ফ্যাশন’।
আজ ৯ জুলাই, ফ্যাশন দিবস। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটির প্রচলন হয়
‘ফ্যাশন’ ব্যাপারটি কিন্তু মোটেই আধুনিক কোনো ধারণা নয়। প্রাচীন গুহাবাসী রমণীরা যে পশুর পশম ও চামড়া দিয়ে বানানো কাপড় পরত, তাতেও আছে ফ্যাশনের ছাপ। ১৭৯০ সালে সেলাই মেশিন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে মানুষের ফ্যাশনচিন্তায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে।
আধুনিক সময়ে ফ্যাশন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। নিজেকে সুন্দর দেখানোর পাশাপাশি ব্যক্তিত্বও ফুটে ওঠে এতে। আর এ জন্য ফ্যাশন নিয়ে মানুষের চিন্তা বা গবেষণারও অন্ত নেই। ফ্যাশন ম্যাগাজিন বা পত্রিকার ফ্যাশন পাতা প্রিয় অনেকের। কেউ কেউ বিভিন্ন বিখ্যাত তারকাদের ফ্যাশন অনুসরণ করেন। যেসব তারকারা ফ্যাশনের দিক থেকে স্বতন্ত্র ও অনুসরণীয়, তাদের বলে ফ্যাশন আইকন বা ফ্যাশনিস্তা। আর ফ্যাশন শো তো বিশ্বব্যাপীই জনপ্রিয় সৌন্দর্য প্রদর্শনী। একাডেমিক শিক্ষার বিষয় হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইন। চার্লস ফ্রেডরিক ওর্থ নামের একজন ইংরেজ ভদ্রলোককে বিশ্বের প্রথম ফ্যাশন ডিজাইনার বলে মনে করা হয়।