পাকিস্তানি শাসনামলে অনেক কিছু নিয়ে স্বপ্ন দেখার কোনো কারণ ছিল না। সে সময় আমরা ছিলাম নিপীড়িত। সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করত পূর্ব পাকিস্তানের সোনালি আঁশ পাট। আর এ টাকায় উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতো পশ্চিম পাকিস্তানে। তাই পদ্মা সেতু তো দূরের কথা বুড়িগঙ্গা সেতু গড়ার চিন্তা করাও আমাদের জন্য বাতুলতা ছিল। স্বাধীনতা একটি বড় সম্ভাবনা তৈরি করে। আত্মবিশ্বাস বাড়ায় স্বাধীন দেশের নাগরিকদের মনে। তাই মুক্তিযুদ্ধের পর বিধ্বস্ত স্বাধীন দেশে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে খুব দেরি করতে হতো না যদি না পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রের ঘেরাটোপে আমাদের পড়তে না হতো।
আমরা মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর মধ্যে গোপালের প্রতিরূপ দেখতে পেয়েছিলাম। একটি বড় দুঃসময়ের পর গোপাল বাংলার রাজদ- হাতে নিয়েছিলেন আট শতকের মাঝপর্বে। এর আগের একশত বছর অরাজকতায় ছেয়ে গিয়েছিল বাংলা। রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার পালাবদল চলছিল। একশ বছরের অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজ ও রাজনীতি থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিল মানুষ। তাই অভিজাত শ্রেণি প্রথম গণতান্ত্রিক আচরণ করে নির্বাচন করেন গোপালকে।