অতি বর্ষণে পাটুরিয়া ফেরিঘাট প্লাবিত; জলমগ্ন দৌলতদিয়া ঘাট। তীরে ভেড়ার কোনো জায়গা পাচ্ছে না ফেরি। শত শত যাত্রীবাহী গাড়ি আর পণ্যবাহী ট্রাক সারি বেঁধে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে পাটুরিয়া ও দৌলতিয়া ঘাটে। নারী-শিশু আর বয়স্ক যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে। অজস্র পচনশীল কাঁচামাল পদ্মার দু'পাড়ে পচে-গলে ধ্বংস হওয়ার উপক্রম। কয়েকশ কোটি টাকার পণ্য আর সম্পদ নদীর ঘাটেই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ধরনের সংবাদ এখন থেকে আর খবরের কাগজে দেখা যাবে না। দেখা যাবে না টেলিভিশনের পর্দায়ও। কারণ একটাই- পদ্মা সেতু। স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হয়ে যাওয়ার পর দুর্ভোগ আর সম্পদহানির এই 'পুরোনো চিত্র' দেখার অবসান হলো ধরে; নেওয়া যায়।
এখন সম্ভবত আর শুনতে হবে না- পদ্মায় ফেরি পারাপারে অসহনীয় জটের কারণে আটকে পড়া কোনো রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সেই প্রাণ দিতে হয়েছে। শুনতে হবে না পদ্মায় লঞ্চডুবিতে মৃত্যুর খবর। টিভি পর্দায় দেখতে হবে না পদ্মায় নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনের উদ্বিগ্ন মুখ। শুনতে হবে না পদ্মায় সন্তান হারানো মায়ের বুকফাটা কান্না। না; এসব আর শুনতে হবে না বলেই বিশ্বাস করছি। বাস্তবতাও তাই। পদ্মা সেতু তার দুর্গম যাত্রায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশের মানুষের সেবায় বুক পেতে আছে!