নিকট অতীতে সিলেট-সুনামগঞ্জের বাসিন্দাদের এত ভয়াবহ দুর্যোগের মুখোমুখী হতে হয়নি। একদিকে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে বন্যায় কীভাবে মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, তা আমরা আরেকবার দেখলাম। বন্যায় বিদ্যুৎকেন্দ্র ডুবে স্বাভাবিক সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সেখানকার টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। আমি তিন দিন চেষ্টা করে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছি। ১৯৮৮ সালের বন্যা দেখার অভিজ্ঞতা আমার আছে। এমন পরিস্থিতি আগে কখনও হয়নি।
আমরা যদি আগে থেকেই সেসব এলাকায় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করতে পারতাম, তাহলে এভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হতো না। অনেক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা নিয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হলেই তাঁরা যাবেন।
এই বিপর্যয়ের সময় সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি আটকে পড়া পর্যটকদেরও উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু এই মানবিক বিপর্যয়ের সময়ও আমরা কিছু অমানবিক কার্যক্রম দেখতে পাচ্ছি। একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পারাপারে এক নৌকার মাঝি ৪০-৫০ হাজার টাকা দাবি করেছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় ডাকাতির খবরও পাওয়া যাচ্ছে। আমরা যুগ যুগ ধরে দেখেছি মানুষের বিপদে প্রতিবেশীকে এগিয়ে আসতে। কিন্তু চলতি দুর্যোগের সময় এ ধরনের অমানবিক আচরণ অপ্রত্যাশিত।