বন্যার কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ব্যাংকের শাখাগুলো আজ রোববার খোলেনি। পানিতে তলিয়ে গেছে ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথ। যেসব ব্যাংকের শাখা নিচতলায়, সেগুলো পানিতে ডুবে গেছে। তবে যেসব শাখা দোতলা ও তিনতলায়, সেসব শাখা এখনো নিরাপদ আছে।
ইন্টারনেট, মুঠোফোন ও বিদ্যুৎব্যবস্থা না থাকায় ব্যাংকগুলোর সব ধরনের সেবা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে ওই সব এলাকার ব্যাংকের শাখার পাশাপাশি, এটিএম, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাও বন্ধ রয়েছে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিলেট ও সুনামগঞ্জে আমাদের ৬টি শাখা, ৯৫টি এটিএম এবং ৩১টি টাকা জমার মেশিন আছে। তার সবই পানির নিচে। এ কারণে ১৫ থেকে ১৬ কোটি টাকা পানিতে ডুবে আছে। যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই সব এলাকায় রকেট, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাও বন্ধ হয়ে গেছে।’
একই অবস্থা সরকারি–বেসরকারি সব ব্যাংকের। সুনামগঞ্জের ব্যাংক শাখাগুলো নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তারা সুস্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না। অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বন্যার কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ব্যাংকের শাখাগুলো খোলা সম্ভব হয়নি। আমাদের বেশির ভাগ শাখা দোতলায় হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে।