বিশ্বব্যবস্থা দীর্ঘস্থায়ী বিভক্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ, এর একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এবং অন্যদিকে চীন ও তার সহযোগীরা দল ভারী করার তালে আছে। মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন গত মাসে আটলান্টিক কাউন্সিলের একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, এই বিভক্তি কাম্য নয় এবং এটি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই চীনের সঙ্গে কাজ করতে হবে। কিন্তু মুখে এই কথা বললেও বাস্তবে গত মাসে তিনি যেসব উদ্যোগে সমর্থন দিয়েছেন, তা এই ধরনের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে পারে।
ইয়েলেনের দৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের এমন দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করা উচিত, যে দেশগুলোর ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে কীভাবে কাজ করা যায় তা জানা আছে এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সাধারণ নিয়ম ও মূল্যবোধের প্রতি দৃঢ় আনুগত্য রয়েছে।’ তাঁর দৃষ্টিতে, ‘মূল মূল্যবোধ এবং নীতিগুলোর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ অংশীদার বেছে নেওয়া হলো কার্যকর সহযোগিতার চাবিকাঠি।
কিন্তু এই দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন মূল্যবোধে বিশ্বাসী দেশগুলোকে কোথায় নিয়ে যায়? যদি পশ্চিমা দেশগুলো শুধু সেই দেশগুলোর জন্যই সহযোগিতাকে সীমাবদ্ধ রাখে যারা বিশ্বকে তাদের চোখে দেখে, তাহলে কীভাবে বৈশ্বিক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলো টিকে থাকবে? পশ্চিমারা যদি চীনের মতো একটি শক্তিকে তাদের বহুপক্ষীয় ব্যবস্থা থেকে বাদ দেয়, তাহলে চীনের হাতে বর্শার মতো বিকল্প ছাড়া আর কী থাকতে পারে?