গত কয়েক দিন বেশ কয়েক আত্মীয়র কাছ থেকে ফোন পেলাম। ওই ফোনগুলোয় স্পষ্টই টের পেলাম উদ্বেগ। কারও সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে আবার কারও কারও কলেজপড়ুয়া সন্তান সেদিনেই এসেছিল বন্ধুদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে। সবার মধ্যে ভয়াবহ রকমের দুশ্চিন্তা। সন্তান নিরাপদে বাসায় ফিরবে তো! অন্যদিকে যারা ইতোমধ্যে হলে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে, তাদের অভিভাবকরা চিন্তিত সন্তান নিরাপদে পড়াশোনা করতে পারবে তো, বেঁচে থাকবে তো? এ রকম এক অভিভাবকের ফোনেই প্রথম সংঘর্ষের খবর জানলাম। সেদিন শিক্ষকরা ব্যস্ত তাদের সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে। অথচ সকাল থেকেই শহীদ মিনার এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এবং বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ আনুযায়ী সেদিন ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের বেশ কয়েক নেতাকর্মী আহত হয়। এ ঘটনার রেশ হিসেবে এর পরবর্তী দুই দিনও বিশ্ববিদ্যালয় অশান্ত হয়ে পড়ে এবং গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে। হেলমেট, লাঠি ও অস্ত্র দেখা যায় শিক্ষার্থীদের হাতে। আমি শিক্ষার্থীই বলব। কারণ তারা প্রথমে শিক্ষার্থী, তার পর তাদের রাজনৈতিক বা অন্যান্য পরিচয়। তবে ঘটনার সূত্রপাত আরও আগে থেকে।