ঢাকায় ২৬ ও ২৭ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বদ্বীপ সম্মেলন। শত বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনায় সহযোগী হিসেবে কাজ করছে আরেক বদ্বীপ দেশ নেদারল্যান্ডস। তারা তাদের বদ্বীপ পরিকল্পনায় নিজেদের দেশকে পাল্টে নিয়েছে, তৈরি হয়েছে বিশ্বের অন্যতম কৃষিনির্ভর অর্থনীতির দেশ হিসেবে। তাই আন্তর্জাতিক বদ্বীপ সম্মেলনের আগে নেদারল্যান্ডসের বদ্বীপ পরিকল্পনার কৌশল ও অর্জন খুব কাছ থেকে দেখার ইচ্ছা থেকে ঘুরে আসি নেদারল্যান্ডস। সেখানে বদ্বীপ পরিকল্পনা ও পানি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলি। আমি আজ নেদারল্যান্ডস ভ্রমণের কিছু অভিজ্ঞতাই তুলে ধরতে চাই।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার চেয়ে নিচে অবস্থান করছে গোটা নেদারল্যান্ডস। তারা মূলত সমুদ্র বা নদী শাসন করেছে অর্থাৎ দেশের সব পানি ব্যবস্থাপনা সাজিয়ে তুলেছে বিভিন্ন পদক্ষেপে। ফলে সমৃদ্ধ হয়েছে কৃষি, পর্যটন ও শিল্প খাত, নিরাপদ হয়েছে দেশটির অর্থনৈতিক ভিত এবং অতি অবশ্যই স্থায়িত্ব পেয়েছে ভৌগোলিক অবস্থান। নেদারল্যান্ডসের একপাশের সীমায় বেলজিয়াম ও জার্মানি। অন্যপাশের পুরোটাই হচ্ছে সাগর, নর্থ সি। ১৯৫৩ সালে নেদারল্যান্ডস ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়। তখন দেশটির বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। ক্ষতির পরিমাণ ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরো। প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা যায়। এত বড় ক্ষতি সামলে নিয়ে নেদারল্যান্ডস চিন্তা করল কীভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ওই বছরেই তথা ১৯৫৩ সালেই তারা শুরু করল ডেল্টা প্ল্যান। এর উদ্দেশ্য ছিল কীভাবে নেদারল্যান্ডসকে প্রটেক্ট করা যেতে পারে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস বা প্রাকৃতিক ক্ষয়ক্ষতি থেকে। নর্থ সি-তীর ধরে পুরো বাঁধ নির্মাণ করে দিল। এ কারণে আমরা জানি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা থেকে নেদারল্যান্ডস নিচে থাকার পরও বন্যা বা জলোচ্ছ্বাস তারা চমৎকারভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে।