সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি হয়েছে। দেশের আমদানি ব্যয় ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধির পেছনে এটাও বড় কারণ। কিন্তু আমদানি এলসি বেলাগাম গতিতে বাড়ার পেছনে প্রধান কারণ ওভার ইনভয়েসিং পদ্ধতিতে বিদেশে পুঁজি পাচার বেড়ে যাওয়া।
শ্রীলঙ্কার ‘লঙ্কাকাণ্ড’ দেশটাকে চরম অরাজকতায় ডোবাতে চলেছে। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ ছিল শ্রীলঙ্কা। প্রায় শতভাগ জনগণ ছিল শিক্ষিত। দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ছিল ভারতের কেরালার পর দক্ষিণ এশিয়ার সেরা। চাল উৎপাদনে শ্রীলঙ্কা ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। মানুষের মাথাপিছু জিডিপি ছিল প্রায় ৪ হাজার ডলার। জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা ছিল সবচেয়ে অগ্রগামী। ২০০৯ সালে গৃহযুদ্ধে বিজয়ের পর চীনের ঋণের অর্থে শ্রীলঙ্কা অনেকগুলো স্বল্প-প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে। এর পাশাপাশি ‘সভরেন বন্ড’ ছেড়ে তারা দেশ-বিদেশের অর্থবাজার থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার ঋণ সংগ্রহ করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করার প্রয়াস চালায়। কিন্তু প্রকল্পগুলো থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে মাহিন্দাসহ রাজাপক্ষে পরিবারের অন্য সদস্যরা কোটি কোটি ডলার আত্মসাৎ করার অভিযোগ চরম আকার ধারণ করায় ২০১৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাহিন্দা রাজাপক্ষে মাইথ্রিপালা সিরিসেনার কাছে পরাজিত হয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন।