বিশ্বজুড়ে ব্যাপ্ত পুঁজিবাদীব্যবস্থাটা এখন বর্বরতার শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। পুঁজিবাদমনস্ক অতি নিকৃষ্ট স্তরের মানুষেরা রাষ্ট্রের কর্তা হচ্ছে, রাষ্ট্রকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে, সঙ্গে রয়েছে ব্যবসায়ীরা, তবে এটা যেমন সত্য, তেমনি সত্য এটাও যে পুঁজিবাদীব্যবস্থাটা এখন ভেঙে পড়বে-পড়বে অবস্থায় পৌঁছে গেছে। তার সব খেলা, কৌশল, প্রতিষ্ঠানই এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ধরা যাক নোবেল পুরস্কারের কথাই। এই পুরস্কার একসময়ে অত্যন্ত গৌরবজনক ছিল, এখন আর তেমন নেই; বিশেষ করে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের অবস্থাটা তো বেশ কাহিল। কয়েক বছর আগে দেখা গেল দেওয়ার মতো কোনো লেখক নেই, তাই পুরস্কার দেওয়া হলো একজন সংগীত রচয়িতা ও গায়ককে। পরের বছর পুরস্কার দেওয়াই হলো না; কারণ? কারণ দাতা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা।
পুরস্কার কয়েক বছর আগে যে দুজনকে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের একজন বসনিয়ায় গণহত্যাকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করেছেন। অর্থনীতিতে আবার নোবেল পেয়েছেন তিনজন; তাঁদের দুজন আবার স্বামী-স্ত্রী। স্বামীটি বাঙালি। সেই খবরে বাঙালি মহলে বেশ উৎফুল্ল দেখা গিয়েছিল, পরে সেটা স্তিমিত হয়ে গেছে।
কারণ, জানা গেছে বাঙালি ভদ্রলোক, নাম অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। নৈতিক দিক থেকে মোটেই প্রশংসনীয় মানের নন। তাঁর প্রথম স্ত্রী ছিলেন বাঙালি, তিনিও উঁচু স্তরের একজন অধ্যাপক ছিলেন। যাঁর সঙ্গে মিলে তিনি পুরস্কারটি পেলেন তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী।