দেশে ডজনাধিক নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিগত ৫১ বছরে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন সময়ে অনেক সংলাপ ও মতবিনিময় সভা হয়েছে। এসব সভায় স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে দলগুলো ইসিকে বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়েছে। তবে কখনো কোনো দল মেশিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি উত্থাপন করেনি। বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আনেন দশম নির্বাচন কমিশনের সিইসি ড. এটিএম শামসুল হুদা। তবে ড. হুদা নিজ থেকে এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে বিশ্বাসযোগ্য নয়; কারণ, নির্বাচনে প্রযুক্তি ব্যবহারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকলে হুদা কমিশন ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দায়িত্বে এসেই এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিতেন; বলতেন, নির্বাচনব্যবস্থায় তাদের প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে প্রথম ২ বছর কমিশন এ বিষয়ে কিছুই বলেননি। পরে ২০০৯ সালে কমিশন দু-একবার প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন বলে জানা যায় (সংবাদ, ২ আগস্ট ২০১১)। তবে ২০১০ সালের নভেম্বরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সবুজ সংকেত পেয়ে ইভিএমে ভোট করার ব্যাপারে কমিশন অগ্রসর হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ইসির বৈঠকে কমিশন সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত ধারাবাহিক সংলাপে কমিশন দলগুলোর কাছ থেকে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে মতামত গ্রহণ করে। উল্লেখ্য, ওই সংলাপে সরকারে শরিক কতিপয় দল ছাড়া অন্য সব দল ইভিএমে সংসদ নির্বাচন না করার পক্ষে মত দেয়।