পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম) বা পিসিওডি (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজ়িজ়) যে শব্দবন্ধই ব্যবহার করা হোক না কেন মোদ্দা সমস্যা একটাই। এটি মূলত হরমোনের সমস্যা। এই সিন্ড্রোমে মেয়েদের ডিম্বাশয় বেশি পরিমাণে অ্যান্ড্রোজেন তৈরি করে।
এমনিতে এই হরমোন মেয়েদের শরীরে খুব কম থাকে, কারণ এটি মূলত ছেলেদের হরমোন। এ বার ডিম্বাণু তৈরি হওয়ার জন্য যে হরমোনের প্রয়োজন সেটি যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি না হলে, ডিম্বাণু তৈরি করতে পারে না শরীর। ফলে ডিম্বাশয়ের বাইরে ছোট ছোট সিস্ট দিয়ে একটা আস্তরণ তৈরি হয়। এর ফলে মেয়েদের শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যেমন অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ওজন বেড়ে যাওয়া, মনমেজাজ খারাপ থাকা, শরীরে ইনসুলিন ঠিক মতো কাজ করে না, গর্ভধারণে সমস্যা ইত্যাদি।
সাধারণত কমবয়সি মেয়েদের শরীরেই এই সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সন্তান হয়ে গিয়েছে মধ্য তিরিশের কোনও মহিলার পিসিওএস হল এমন ঘটনাও প্রচুর। কারণ এটি মূলত লাইফস্টাইল ডিজ়িজ়। কায়িক পরিশ্রম কমে যাওয়ার ফলে শরীরের হরমোনাল ব্যালান্স নষ্ট হয়। এক্সারসাইজ় এবং সুষম ডায়েট এই রোগ থেকে রেহাই দিতে পারে।