কথায় কথায় মানুষের গায়ে হাত তোলাকে অভ্যাসে পরিণত করেছেন তিনি। তাঁর মারধর ও হামলা থেকে সাধারণ মানুষ, সরকারি কর্মচারী ও দলীয় লোকজনও রেহাই পাননি। এমন ঘটনাও ঘটেছে, তাঁর সালিস না মেনে আদালতে মামলা করায় এক কাঠ ব্যবসায়ীকে আদালতের বারান্দা থেকে তুলে এনে মারধর করেছেন। অন্যের জমি দখলের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তিনবারের এই সাংসদের বিরুদ্ধে।
তিনি বরগুনা-২ (পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী) আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান। ২০১৩ সালে এই আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ গোলাম সবুর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকে শওকত হাচানুর নির্বাচিত হন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের সাংসদ হন তিনি।
পাথরঘাটা উপজেলায় সাংসদ হাচানুরের দুর্বৃত্তায়ন চলছে, এমন মন্তব্য করলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবির হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাংসদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিষয়ে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে কেন্দ্রীয় নেতাদের জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’