এ বিষয়ে বহুবার লেখা হয়েছে, আরও লেখা হবে। তবু প্রতিটি লেখা, অন্ততপক্ষে আলাদা আলাদা ব্যক্তির লেখা আলাদা হওয়ার কথা, এমনকি একই ব্যক্তির একই বিষয়ে আলাদা লেখা আলাদা হওয়ার কথা। সেই ভরসায় একটি পুরোনো লেখা নতুন করে সাজিয়ে দেওয়া যাক।
কলকাতার নগরবলয়ে যার জন্ম, তিনি শৈশবে প্রকৃতিকে ‘আড়াল-আবডাল হইতে’ দেখতেন বা শুনতেন। আস্তে আস্তে কয়েকটি ধাপে বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে তার পরিচয়ের বিস্তার ঘটল। পেনেটির বাগানবাড়ি, হিমালয় যাত্রা, এখানে-ওখানে ছোটখাটো ভ্রমণ (ওডিশা, দার্জিলিং), তারপর একেবারে নদীমাতৃক পূর্ববঙ্গের বিশাল আকাশবিস্তার, ১৮৯১ থেকে ১৯০১ পর্যন্ত যার ধারাবাহিক প্রাপ্তি।
ইংরেজি ‘ইকোলজি’ কথাটার বাংলা ‘প্রতিবেশ’ খুব সাদামাটা শোনায়। ইংরেজি কথাটার মূল জোর নিসর্গ-প্রতিবেশের ওপর; কিন্তু আমাদের মনে হয়, প্রতিবেশকে যদি নিছক বিমূর্ত ও ভাববদ্ধ অস্তিত্ব হিসাবে না দেখি, তাকে ব্যক্তি মানুষের সঙ্গে আদান-প্রদানবদ্ধ এক জীবন্ত ও সক্রিয় সত্তা হিসাবে দেখি, তাহলে ‘ইকোলজি’ কথাটার অর্থের মধ্যে মানুষকেও ধরে নিতে হবে।