ঢাকার অসহনীয় যানজট নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। জরুরি পদক্ষেপ না নিলে ঢাকা অচল নগরী হয়ে যাওয়ার উপক্রম। মেট্রোরেল, বাস র্যাপিড ট্রানজিট, এলিভেটেড ওয়ে নির্মাণ—দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। জরুরি কিন্তু স্থায়ী পরিকল্পনায় ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকেরা গাড়ি ছেড়ে যাতে বাস ব্যবহার করেন, তেমন গতিশীল ও উন্নতমানের বাস সার্ভিস চালু করা প্রয়োজন। এর বিকল্প পথ নেই। ব্যক্তিগত গাড়িতে কর্মস্থলে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা সীমিত করতে হবে, শুধু মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতি ছাড়া।
দুজন সরকারি বা বেসরকারি কর্মকর্তা দুটি গাড়ি নিয়ে সড়কের যে জায়গা দখল করেন, সেখানে একটি বাস দাঁড়াতে পারে ৬০ জন যাত্রী নিয়ে। সুতরাং প্রাইভেট গাড়ি বা জিপ সড়কে বের করে যানজট কমানো সম্ভব নয়। এসব কর্মকর্তার জন্য নির্ধারিত বাস থাকবে, তার জোগান দেবে বর্তমানে ঢাকায় চালু বাসগুলোর মধ্যে ভালো মানের বাসগুলো। আবার দেখা যায় প্রাথমিক স্তরের সন্তানদের স্কুলে যাওয়া-আসার কাজটি মা-বাবা ব্যক্তিগত গাড়িতে করেন। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে এই প্রবণতাটা বেশি। স্কুলের আশপাশে মায়েদের সর্বক্ষণ ভিড় করতে দেখা যায়। কত মায়ের কত ঘণ্টা যে নিষ্ক্রিয়ভাবে ব্যয় হয়, তার হিসাব নেই। এমন দৃশ্য পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না। এর অবসান হওয়া দরকার। ঢাকার যানজট নিরসনে যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তা আলোচনা করছি।