ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জার্মানিতে জিনিস পত্রের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েই চলেছে। এখানে কয়েকদিন যাবত তেল, আটা, ময়দা সহ কয়েকটি পণ্য একেবারেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। জার্মান সরকার জনগণকে সতর্ক করে দিয়েছে তেল,গ্যাস ও খাদ্য শঙ্কট আগামীতে আরও বাড়তে পারে। তারপরও কোনো রাজনৈতিক দল বা বামপন্থিরা আন্দোলনের বা হরতালের ডাক দিচ্ছে না। লক্ষ লক্ষ মানুষ যুদ্ধ বন্ধের জন্য সমাবেশ করলেও দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে জার্মানির জনগণ বা রাজনৈতিক দল কোন আন্দোলন নামছে না। কারণ জনগণ ভালো করেই জানে এই মূল্য বৃদ্ধির জন্য রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধই দায়ী, সরকার নয়।
বিশ্বে এই সংকটময় সময় জার্মানের জনগণ সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে অধিকাংশ জার্মানিরা মনে করে বর্তমান সংকট সমাধানে সবচেয়ে ভাল নেতা অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল । জার্মানিতে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল। তারপরও তার দল (বর্তমান বিরোধী দল)সরকারে বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন করছে না বরং সরকারে সর্ব প্রকার সহযোগিতা করে সংকট সমাধানের চেষ্টা করছে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে , বাংলাদেশেও তার প্রভাব পরেছে । বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের সৌভাগ্য বাজারে এখনো সকল জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে । জার্মানের মত বাজারে গিয়ে খালি হাতে ফেরত আসতে হচ্ছেনা। জার্মান সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে তেমন কোন পদক্ষেপ এখনো নিতে পারে নি।