এবার দুঃসহ গরমে ঈদ পড়ায় ক্রেতারা ঘরে-বাইরে পরতে আরাম এমন কাপড়কে প্রাধান্য দিচ্ছে। নামি ফ্যাশন হাউসগুলোও মৌসুমের কথা মাথায় রেখে হালকা, উজ্জ্বল রং আর মোলায়েম কাপড়ের তৈরি পোশাক বাজারে এনেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে এবং ফ্যাশন হাউসের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীরের সঙ্গে আলতোভাবে লেগে থাকে এমন মোলায়েম বা সুতি কাপড়ের দিকেই এবার ক্রেতাদের বেশি আগ্রহ। ফ্যাশন হাউস লা রিভ গাছের বাকলের প্রাকৃতিক নকশাকে প্রিন্টের মাধ্যমে কাপড়ে নিয়ে এসেছে।
প্রকৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে স্নিগ্ধ সবুজ ও গাঢ় বাদামি রঙের ব্যবহার করা হয়েছে তাদের পোশাকে। লা রিভের গুলশান পুলিশ প্লাজা আউটলেটের শাখা ব্যবস্থাপক সাজ্জাদুর রহমান জানান, তাঁদের বেশির ভাগ পোশাকই ভিসকস ও সুতি কাপড়ে তৈরি। এবার পলিয়েস্টারজাতীয় বা সিল্ক কাপড় তাঁদের খুব কম পোশাকেই ব্যবহার করা হয়েছে। মানুষকে প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার অনুভূতি দিতে গাছ-লতাপাতার দৃষ্টিসুখকর নকশা করা হয়েছে।
এ ছাড়া বরাবরের মতো জ্যামিতিক নকশার ব্যবহারও আছে। সাজ্জাদুর রহমান জানান, কিশোরীসহ কম বয়সী মেয়েরা শর্ট কামিজের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। আরেকটু বড় থেকে মধ্যবয়সী পর্যন্ত নারীরা কিনছেন সালোয়ার-কামিজ ও লং কামিজ। মসলিন, সিল্ক ও সালোয়ার-কামিজের মধ্যে ভারী কাজের কাপড়ও বিক্রি হচ্ছে। সারারার বিক্রিও এবার ভালো বলে জানালেন সাজ্জাদুর রহমান।
শিশু, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষের জন্যই বৈচিত্র্যময় নকশার বিভিন্ন ধরনের পোশাক এনেছে ঐতিহ্যবাহী আড়ং। তেজগাঁওয়ের শোরুমে গিয়ে দেখা গেছে, পাঞ্জাবি, শাড়ি, থ্রিপিস, লেডিস টপ, লেডিস লং পাঞ্জাবি, ফতুয়া ও শিশুদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে দেদার। কয়েকজন বিক্রয়কর্মী জানান, অ্যান্ডি সিল্ক, সিল্ক, মসলিন ও সুতি কাপড়ের তৈরি পাঞ্জাবি ও শাড়ির দিকে ক্রেতাদের বেশি ঝোঁক। আড়ংয়ের সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবি ও থ্রিপিসে হাত ও মেশিনের এমব্রয়ডারির কাজ রয়েছে। ব্লক ও স্ক্রিনসহ বিভিন্ন প্রিন্টের পোশাকও এনেছে দেশীয় ঘরানার কাপড়ের বনেদি এই ব্র্যান্ড।