রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের দুই পাশে বনসাইয়ের সারি। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ ২০১৭ সালে এসব গাছ লাগিয়েছিল। নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষ্যে এগুলো আনা হয়েছিল চীন ও তাইওয়ান থেকে। তবে পরিবেশবিদ ও উদ্ভিদবিদদের প্রবল বিরোধিতায় দেশের মাটির সঙ্গে সম্পর্কহীন এসব উচ্চমূল্যের গাছ লাগানোর কাজ আর বেশি দূর এগোয়নি। গতকাল বুধবার এই সড়কে ঘুরে দেখা গেছে, নিকুঞ্জ থেকে র্যাডিসন হোটেল পর্যন্ত এসব গাছ রয়েছে। গাছের পরিচর্যার অভাব স্পষ্ট।
ঢাকার মাটির গঠন মূলত লাল মাটির। সেখানে মূল গাছ শাল। একটা শালের চারা কিনতে ৯ টাকা লাগে। অত্যন্ত টেকসই গাছ শাল। অথচ সেই গাছ বাদ দিয়ে বিপুল অর্থ ব্যয়ে বনসাই লাগানো হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হলেও সিটি করপোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সওজ—কেউই এক দশকের বেশি সময় ধরে ঢাকার কোথাও একটিও শালগাছ লাগায়নি। ভবিষ্যতেও এই গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেই।