বগুড়ার শিবগঞ্জে পরকীয়ার ঘটনায় খুন হওয়া লাভলু হত্যা মামলায় ছয় বছর পর মূল আসামি ফরিদা বেগম (৪৫) ও তার সহযোগী আবদুল গফুরকে (৪০) গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এই দুই আসামি গ্রেপ্তারে মধ্য দিয়ে লাভলু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই। লাভলুর যৌনাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে খুন করে সাবেক স্ত্রী ফরিদা ও তার সহযোগীরা। ফরিদা বেগম (৪৫) শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের ফজর উদ্দিনের মেয়ে এবং তার সহযোগী আব্দুল গফুর সোনাতলা উপজেলার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন তার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন। ফরিদা বেগম ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ত থাকার বিষয় ও ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশও করেন ফরিদা। তার জবানবন্দি অনুযায়ী আব্দুল গফুর নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ১১ জুলাই শিবগঞ্জের কৃষ্ণপুর এলাকার একটি মেহগনি বাগানে গরু ব্যবসায়ী লাভলুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।