সংকটে পড়া ব্যাংকগুলোকে নগদ টাকার জোগান দিতে তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ১৬ দিনে ১৯ হাজার কোটি টাকার জোগান দিয়েছে।
৩ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে ব্যাংকগুলোকে ওই সহায়তা দেওয়া হয়। তবে ব্যাংকগুলোতে এখনও তারল্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করেনি। সার্বিকভাবে ব্যাংক খাতে ২ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। এগুলোর একটি অংশ বিভিন্ন বন্ডে বিনিয়োগ করা। আর কিছু ব্যাংক তারল্য ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে সংকটে পড়েছে।
সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক থেকে মানুষের টাকা তোলার প্রবণতা বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে নতুন আমানত রাখার হার কমায় সঞ্চয়ের হার কমে গেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সও কমেছে। এদিকে আমদানি ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আমদানি ব্যয় মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কিনছে। এতেও ব্যাংকগুলোর টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে পড়েছে। বেড়েছে ঋণের প্রবাহও। এসব কারণে কিছু ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে।
এছাড়া আসন্ন রোজার ঈদে ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার চাহিদা বাড়ে। এই সময়ে গ্রাহকরা বেশি মাত্রায় নগদ টাকা তুলে নেন। করোনার সংকট মোকাবিলায় টাকার প্রবাহও বাড়ানোর পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে চাহিদা অনুযায়ী টাকার জোগান দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকগুলো যে টাকা চাচ্ছে, তাতে কোনো কাটছাঁট করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চাহিদা অনুযায়ীই টাকার জোগান দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র জানায়, ১৮ এপ্রিল দুটি উপকরণের মাধ্যমে ১৯টি ব্যাংককে ৪ হাজার ৩৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। ১৭ এপ্রিল ৪ হাজার ৯৩১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, ১৩ এপ্রিল ৩ হাজার ৪৩৯ কোটি ৪ লাখ টাকা, ১০ এপ্রিল ৫৫১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর আগে ৭ এপ্রিল ৬৯৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ৬ এপ্রিল ৯২৪ কোটি টাকা, ৫ এপ্রিল ১ হাজার ৯০০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, ৪ এপ্রিল ১ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা এবং ৩ এপ্রিল ৯৭৭ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।