সম্পদের প্রতি লোভ কার না আছে! এই লোভ মানুষের সহজাত স্বভাব। এই ভূমণ্ডলে খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে যিনি সম্পদশালী হতে চান না। এ কথা অনস্বীকার্য যে সম্পদ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিধান করে। আমরা সবাই একটি সচ্ছল জীবন চাই। এই সচ্ছল জীবনের জন্যই সম্পদের প্রয়োজন আছে। প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে মানুষের স্বাভাবিক জীবনধারণ করা সম্ভব নয়। কাজেই সম্পদ বা অর্থের চাহিদা মানুষের চিরকালের। তবে এই চাহিদার রকমফের আছে। কেউ অধিক সম্পদশালী হতে চায়; কেউ আবার সচ্ছল জীবনের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সম্পদ পেলেই খুশি।
তারপরও মানুষের অধিক সম্পদ অর্জনে চেষ্টার শেষ নেই। কে কত বেশি সম্পদের অধিকারী তার ওপর নির্ভর করে কে কত বড় ধনী ব্যক্তি। আমাদের সমাজে একশ্রেণির মানুষ আছে, যাঁরা বরাবরই অতিরিক্ত সম্পদের মালিক হতে চান, সেই সম্পদ যে পথেই আসুক না কেন। ইদানীং আমাদের সমাজে অতিদ্রুত ধনী হওয়ার এক অসুস্থ প্রবণতা দেখতে পাই। এরূপ প্রবণতা নিঃসন্দেহে ভালো নয়। দ্রুত ধনী হওয়ার এই প্রবণতা সমাজে বৈষম্যের সৃষ্টি করছে। অর্থাৎ ধনী-গরিবের ব্যবধান বৃদ্ধি করছে। এ বিষয়ে গত বছরের একটি পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাবে। গত বছর দেশে শীর্ষ ১০ শতাংশ ধনীর আয় মোট জাতীয় আয়ের ৪৪ শতাংশ ছিল। একই সময়ে দেশের শীর্ষ ১ শতাংশ ধনী মানুষের আয় ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অপরদিকে সমাজে পিছিয়ে পড়া ৫০ শতাংশ মানুষের আয় শীর্ষ ১ শতাংশ মানুষের চেয়ে অতি সামান্য বেশি, অর্থাৎ ১৭ দশমিক ১ শতাংশ ছিল।