ফেসবুক লাইভের জন্য ছাত্রলীগ নেতাকে ধন্যবাদ!

প্রথম আলো এ কে এম জাকারিয়া প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২২, ১০:২২

একটি ফেসবুক লাইভ আমাদের অনেক কিছু জানাল। আমরা কিছু দৃশ্য দেখলাম, কিছু কথা শুনলাম। ৯ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের লাইভ। পাঠকদের অনেকেরই অবশ্য তা দেখা ও শোনা হয়ে গেছে। যাঁরা এখনো এর বাইরে আছেন, তাঁদের জন্য লাইভের কিছু কথা ও দৃশ্যের বর্ণনা দিতেই হচ্ছে। শুরুতেই ধারাভাষ্য—‘আমাদের পরীক্ষা চলছে, সবাই লিখছে, আমি বসে আছি। সবাই লিখছে বাংলায়, আমি তো বাংলাই লিখি না, ইংলিশে লিখি। অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল পরীক্ষা হল ফেসবুকে লাইভ দেব। সেই ইচ্ছা আজ পূরণ হলো। ম্যাডামও দেখি আমাকে ভিডিও করছে। স্যারেরা ঘুমাচ্ছে, আমি ইংরেজিতে লিখেছি, সালামও লিখেছে।’


‘পরীক্ষা হল থেকে ফেসবুকে লাইভ’ করার খায়েশ পূরণকারী এই শিক্ষার্থীর নাম মনির হোসেন। ওনার একটি ডাকনাম আছে, সুমন। তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। আমরা তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। কারণ, তিনি ফেসবুক লাইভে না এলে অনেক কিছুই আমাদের জানা-বোঝার বাইরে থাকত। আমরা এখন জানতে পেরেছি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ের ছয় মাস মেয়াদি কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা কীভাবে হয়। পরীক্ষার সময় সেই হলের অবস্থা কেমন থাকে, পরিদর্শক স্যার-ম্যাডামরা কী কী করেন।


সুমনের কাছ থেকে আমরা আর কী কী জানলাম? ‘আমরা ছাত্রলীগ, যেখানে যাব সেখানেই বুলেট। রোজা থেকে পরীক্ষা দিচ্ছি, গোল্ডেন এ প্লাস পাব। পরীক্ষার খাতায় গ্রুপের জায়গা লিখে দিয়েছি, “এমপি আনার গ্রুপ”(সরকারি দলীয় স্থানীয় সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার)। স্যাররা এ প্লাস না দিলে বোর্ডমোড ভেঙে ফেলবানে।’ আমরা জানলাম এবং বুঝলাম ছাত্রলীগের কর্মীরা সত্যিই ‘বুলেট’। স্যাররা তাঁদের এ প্লাস দিতে বাধ্য। না দিলে ‘বোর্ডমোড’ ভেঙে ফেলার ক্ষমতা তাঁরা রাখেন। পরীক্ষার খাতায় ‘গ্রুপের’ জায়গায় স্থানীয় সাংসদের ডাকনাম লিখে আসা যায়। বোঝা গেল, স্থানীয় সাংসদের নামে একটি ‘গ্রুপ’ আছে এবং তার পরিচিতিও রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us