কূটনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের সফল বাহন হিসেবে শক্তিধর রাষ্ট্রযন্ত্র অনেককাল ধরেই অস্ত্রকে ব্যবহার করছে। তবে ভয় দেখাতে নয়। বরং অস্ত্র বিক্রির বিনিময়ে কোনো দেশের কূটনীতির মোড় পরিবর্তন করে নিজ স্বার্থের পথে নিয়ে আসতে এমনটি করা হচ্ছে।
তেল আবিবভিত্তিক নিউ ইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনের স্টাফ রাইটার রনেন বার্গম্যান এবং দুই দফা পুলিৎজার বিজয়ী ওয়াশিংটনের অনুসন্ধানী সাংবাদিক মার্ক ম্যাজজেনটি যৌথ ভাবে এক প্রতিবেদন তৈরি করেন। প্রতিবেদনে ইসরায়েলের সাইবারঅস্ত্র কূটনৈতিক বিজয় অর্জনের ঘটনাবলী ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে। রনেন বার্গম্যানের সর্বশেষ বই 'রাইজ অ্যান্ড কিল: দ্যা সিক্রেট হিস্টোরি অব ইসরাইল'স টারগেটেড অ্যাসাসিনেশন' সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। আর মার্ক ম্যাজজেনটির সর্বশেষ বইয়ের নাম- 'দি ওয়ে অব নাইফ: দ্যা সিআইএ, এ সিক্রেট আর্মি, অ্যান্ড আ ওয়ার অ্যাট দা এন্ডস অব দি আর্থ।'
বিদেশে আমেরিকান দূতাবাসের পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা তাদের মক্কেল রাষ্ট্রের কাছে অস্ত্র বিক্রির মওকা খুঁজে বেড়ান। মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর জন্য বিক্রেতার ভূমিকায় নামেন তারা। ২০১০ সালে উইকিলিকস মার্কিন হাজার হাজার কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁস করে দেয়। এতে দেখা যায়, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা মিত্র দেশের (এক্ষেত্রে মক্কেল পড়লেও দোষের কিছু হবে না) রাজধানীতে তাদের সমকক্ষদের সাথে মোলাকাত করেন। এসব সাক্ষাৎ শেষ হয় প্রায়ই অস্ত্র ক্রয় চুক্তির ঘোষণা দিয়ে। অন্যদিকে মার্কিন অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন বা রেথিয়নের লাভের ঘরে জমতে থাকে আরো মধু ।