বন্দরে পণ্যছাড়ে ডিজিটাইজেশন

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩৬

চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারভর্তি পণ্যছাড়ে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে প্রায় সব প্রতিষ্ঠান নতুন এই পদ্ধতিতে পণ্যছাড়ের কাজ শুরু করেছে। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ছয়টি শিপিং লাইনকে দিয়ে পরীক্ষামূলক এই কার্যক্রম শুরু করেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। চার মাস ধরে নানা ত্রুটি-বিচ্যুতির সমাধান করে এপ্রিল থেকে এই কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।


নতুন এই স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পণ্যছাড় নিতে প্রচুর সময় সাশ্রয় হবে, ভোগান্তি কমবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনও পণ্যছাড়ের আবেদনের অনুমতি মিলবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে ম্যানুয়াল ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যছাড়ের প্রক্রিয়া বন্ধ হবে, যদি বন্দর ও কাস্টমস সজাগ থাকে।


চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘১ এপ্রিল থেকে আমরা শতভাগ স্বয়ংক্রিয় ডেলিভারি অর্ডার পদ্ধতিতে যাত্রা শুরু করেছি। এখন সব ডেলিভারি অর্ডার ইলেকট্রনিক্যালি জমা দিতে হবে। এর ফলে খুব কম সময়ে পণ্য বন্দর থেকে ছাড়ের সুযোগ পাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। ’


‘এর আগে চার মাস ধরে আমরা সব বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বসেছি। সবাইকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। ত্রুটি থাকলে সেগুলোর সমাধান করেছি। এখন সবাই প্রস্তুত হওয়ার পরই এটি চালু করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ডিজিটালি আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল’—যোগ করেন বন্দর চেয়ারম্যান।


বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যছাড়ের জন্য ডেলিভারি অর্ডার নিতে হয় সংশ্লিষ্ট শিপিং লাইন অফিস থেকে। আমদানিকারকের প্রতিনিধি হিসেবে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সশরীরে সেই অফিসে গিয়ে ডকুমেন্ট জমা দিয়ে ডেলিভারি অর্ডারের আবেদন করেন, সেই সঙ্গে মাসুলও পরিশোধ করেন। এখন এই কাজটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে করার নিয়ম চালু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।


বন্দরের হিসাবে, ১ ডিসেম্বর থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে অনলাইনে ৪৭ হাজার ৩৬৯টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৩২ হাজার ২৬৯টি ডেলিভারি অর্ডার অনলাইনে অনুমোদন মিলেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us