বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া মূল্যে ব্যবসায়ীরা খুচরা বাজারে পণ্য বিক্রি করছেন না। পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার থেকে যেসব নীতি-সহায়তায় ছাড় দেওয়া হয় সেগুলোও খুব কম সময় নিয়ে। ফলে এর সুফল বাজারে পড়ে না।
সরকারি সংস্থাগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যে মূল্য প্রকাশ করে তার সঙ্গেও বাজারে মিল নেই। চাহিদা ও সরবরাহের তথ্যেও রয়েছে গরমিল। প্রতিটি বাজারে পণ্য মূল্যের তালিকা প্রতিদিন হালনাগাদ করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। কেনাবেচায় লিখিত রসিদ থাকার কথা থাকলেও তার হদিস মিলছে না।
চাহিদা অনুযায়ী আমদানি পণ্যের এলসি খোলা বা দেশে আনার বিষয়টিতেও নেই যথাযথভাবে তদারকি। বাজার মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে নেই সমন্বয়। এসব মিলে বাজার ব্যবস্থাপনায় চলছে বিশৃঙ্খলা। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভোক্তাদের। পণ্য কিনতে হচ্ছে চড়া দামে।
সূত্র জানায়, বুধবার কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ৪০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। ওই মূল্য অনুযায়ী খুচরা বাজারে পণ্য বিক্রি করতে হবে। কিন্তু বাজার ঘুরে ওই দামে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিটি পণ্যই ৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিবছরই রোজার আগে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে বৈঠক হয়। ওইসব বৈঠকে উপস্থিত থাকেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিএফটিআই, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড টেরিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী গ্রুপসহ সরকারের একাধিক আইনশৃঙ্খলা এজেন্সি।
এ বছরও বৈঠক হয়েছে এ মাসের শুরুর দিকে। কিন্তু বৈঠক হয় তবে এর সুফল আর রোজায় মেলে না। কারণ এ সময়ে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার সুফল চলে যায় ব্যবসায়ীদের পকেটে। গত বছর রমজানের আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাজার ব্যবস্থাপনার দিকে সরকারের নজর রয়েছে। যখন যা প্রয়োজন তাই করা হবে। অসাধু পন্থা নিলে শাস্তির আওতায় আনা হবে। ২০২০ সালেও একই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু বাজারে এর প্রতিফলন ঘটেনি।