ঢাকার শাহজাহানপুরে প্রকাশ্যে খুন হওয়ার কয়েক দিন আগেই মোবাইলে হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু; কিন্তু তদন্তে নেমে ওই ফোন নম্বরটি শনাক্ত করার চেষ্টায় হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে।
তদন্তকারীদের ধারণা, ওই হত্যাকাণ্ডে অন্তত দুজন সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাদের শনাক্ত করতে প্রাথমিকভাবে পাওয়া সিসিটিভি ভিডিও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
কারো কাছে সে রকম ভিডিও কিংবা ছবি থাকলে পুলিশকে সরবরাহ করার আহ্বান জানানো হয়েছে নাম-পরিচয় গোপন রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে।
শাহজাহানপুরের আমতলী এলাকার রাস্তায় বৃহস্পতিবার রাতে অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন মাইক্রোবাসে থাকা টিপু। ওই সময় গাড়ির কাছেই রিকশায় থাকা বদরুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতিও গুলিতে নিহত হন। আহত হন টিপুর গাড়ি চালক মুন্না।
মাত্র মিনিটখানেকের মধ্যে কাজ সেরে হেলমেটধারী আততায়ী সড়ক বিভাজক টপকে গুলি করতে করতে রাস্তার অন্য পাশে অপেক্ষায় থাকা একটি মোটরসাইকেলে উঠে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারজানা ইসলাম ডলি শুক্রবার সকালে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৪) প্রায় এক দশক আগে যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কী হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
সন্দেহভাজন হিসেবে কারও নাম না বললেও স্বামীর রাজনৈতিক ‘কোন্দলের’ কথা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন ডলি।