দোল নিয়ে আমার মিশ্র অভিজ্ঞতা। ভাল-মন্দ অনেক স্মৃতি এই এক উৎসবকে ঘিরে। দোল মানেই সকাল থেকে পাড়ায় মাইকে বাজত ‘রং বরসে’ গান। সঙ্গে হুল্লোড়। আমি কোনও দিন এ সবে নেই। পাড়ার ‘দাদা’দের সঙ্গে রং খেলার অনুমতি ছিল না। লাল আবিরে সিঁদুর মিশিয়ে পরিয়ে দেবে, সেই সুযোগও কেউ কোনও দিন পায়নি। আমিও ও সব ভালবাসতাম না। আমার দোল তাই বরাবর পারিবারিক। ভাই-বোনেরা মিলে হইহই। ঘরোয়া খাওয়াদাওয়া। বড়দের পায়ে আবির ছোঁয়ানো, এইই...।
একটু বড় হওয়ার পরে মুম্বই চলে যেতাম। শশধর মুখোপাধ্যায়ের পরিবারের দোল বিখ্যাত। ওই বাড়ির ছেলে রাম মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার দিদি রুমকির বিয়ে হয়েছে। সেখানে তারকার ঢল। সবার সঙ্গে মিশে দোল খেলতাম। দিদির জানকি কুটিরে একটা ফ্ল্যাট ছিল। সেখানে হাতেগোনা কিছু তারকা আসতেন। বাকি আমি দিদি-জামাইবাবু, বোনপো-বোনঝি রানি-রাজা মুখোপাধ্যায়। সবাই মিলে রঙের ফোয়ারা ছোটাতাম। গোটা সকাল ধরে দোল খেলে তার পর সবাই মিলে স্নান করতে যেতাম সমুদ্রে। তার মজাই আলাদা! তাই তখনও আমার কাছে দোল ভয়ানক হয়ে ওঠেনি।