এই ব্যাপারে আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে, এবার স্বাধীনতা পদকের জন্য মহান বাউলশিল্পী শাহ আবদুল করিমের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তাকে এ পদক দেওয়া হয়নি। বারবার তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, অথচ তিনি উপেক্ষার শিকার হচ্ছেন। তার বিষয়ে পরে বলছি।
আরেক প্রখ্যাত বাউলশিল্পী দূরবিন শাহের ব্যাপারেও পরে বলছি।
আগে বলি রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কার দেওয়া কেন? এজন্য যে, যারা নানাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন, নিজ নিজ কর্ম দিয়ে যারা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছেন, তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার জন্যই রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার দিতে হয়। ভালো কাজের স্বীকৃতি দেওয়া না হলে মেধার বিকাশ ঘটে না, সৃষ্টিশীলতার বিকাশ ঘটে না, পরবর্তী প্রজন্ম ভালো কাজের প্রতি উৎসাহিত হয় না।
স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার। এই পুরস্কার তাদেরকেই দেওয়ার কথা যারা জ্ঞান-বিজ্ঞান-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ নানাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন। স্বীয় কর্মের মধ্য দিয়ে গোটা জাতি না হলেও জাতির একটা বৃহত্তর অংশকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছেন।