ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ভারতীয় উপমহাদেশের আরবি, ফারসি এবং উর্দু-হিন্দি ভাষার কবিকুল একনিষ্ঠভাবে বন্দনা করে গিয়েছেন পর্দার। প্রেমিকার প্রতি প্রেমিকের তীব্র মিলনেচ্ছা বা আশিকের সঙ্গে মাসুকের একান্ত মিলনকে ব্যক্ত করতে বারবার উঠে আসে পর্দার প্রসঙ্গ। এই বাধাটুকু অতিক্রম করতে পারলে যে অধরা মাধুরী ছন্দবন্ধনে ধরা দিতে পারে, মূর্ত হয়ে উঠতে পারেন সকল দেখার শ্রেষ্ঠ অদৃষ্ট — এমন কথা লিখে গিয়েছেন একের পর এক সুফি দার্শনিক কবিরা।
ছাপ-তিলক সব ছেড়ে নয়নে নয়ন মিলিয়ে তাকানোর কথা লিখে গিয়েছেন স্বয়ং আমির খসরু (ত্রয়োদশ শতক)। নেকাব সেখানে নেই। লজ্জার কোনো স্থান নেই পরম আর তার মিলনাকাঙ্ক্ষায় উন্মত্ত ভক্তের মাঝখানে। সে দর্শনে মিশে যায় কালো যমুনার ছলোচ্ছল ঢেউ, রাধারানীর আব্রু, না-বলা বাণীর ঘন যামিনীর মাঝে জেগে থাকে ‘কাওয়াল’-এর উচ্চারণ শুধু।