টেলিফোনের এক প্রান্ত থেকে বলছিলেন ‘আপনি সাইফুলরে ৩০ লাখ দিছেন, আমারে ৩০ ট্যাহাও দেয়োন লাগতো না। আপনে যে ট্যাহা দিছেন, এইড্যা কি মন্ত্রীর নলেজে দিয়া লইছিলেন?’ অন্যপ্রান্ত থেকে জবাব আসে-‘আমার এই টাকা দেওয়ার সাক্ষী আছে বহু। আমি দিছি ৩০ লাখ, আলম পাশা দিছে ২০ লাখ।’ গাজীপুরে এ রকম কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গাজীপুর মহানগর যুবলীগের ২ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন আহমেদ টেলিফোনে কথা বলছিলেন যুবলীগের পদপ্রত্যাশী কাইয়ুম সরকারের সঙ্গে।
এলাকায় শান্ত বাবু নামে পরিচিত সুমন আহমেদের বাড়ি চান্দনা চৌরাস্তায় এবং কাইয়ুম সরকারের বাড়ি গাজীপুরের টঙ্গীর তিস্তা গেট এলাকায়। এলাকাবাসীর ধারণা কাইয়ুমের কাছ থেকে তথ্য আদায় এবং তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই কাজটি করেছেন শান্ত বাবু। ভাইরাল হওয়া ফোনালাপের কণ্ঠস্বর নিজেদের বলে স্বীকার করলেও এর বেশি মন্তব্য করতে রাজি হননি দুজনের কেউই। তবে অতি অল্প সময়ে সাইফুল এত সম্পত্তির মালিক হয়েছেন কীভাবে-এমন প্রশ্ন শান্ত বাবুরও।
তিনি বলেন, যাদের কাছ থেকে পদ নেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন তাদের একটি লিস্ট আছে তার কাছে।
অডিও ক্লিপে দু’জনের কথোপকথন থেকে জানা যায়, কাইয়ুম সরকার পদ পাওয়ার জন্য মহানগর যুবলীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামকে ৩০ লাখ টাকা দিয়েছেন। আলম পাশা নামে এক যুবলীগ নেতা দিয়েছেন ২০ লাখ। দু’জনের কথোপকথনের অডিও ক্লিপের সূত্র ধরে যুবলীগ নেতা সাইফুলের পদ বাণিজ্যের অনুসন্ধান চালিয়ে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসে একসময়কার দরিদ্র সাইফুলের বিপুল বিত্তবৈভবের তথ্য। মোবাইল ফোন চুরি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছিলেন তিনি। পুলিশের মাদক ব্যবসায়ীর তালিকাতেও তার নাম রয়েছে।