করোনা মেয়েদের জীবন ধ্বংস করছে। স্কুল বন্ধ, অর্থনৈতিক চাপ এবং পরিষেবার ব্যাঘাত সবচেয়ে অরক্ষিত মেয়েদের স্বাস্থ্য, সামগ্রিক কল্যাণ ও ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। বিশ্বব্যাপী ১ কোটি ১০ লাখের বেশি মেয়ে মহামারির পর স্কুলে নাও ফিরতে পারে। আগামী এক দশকে আরও এক কোটি মেয়ে বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে আছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।
ক্যাথরিন রাসেল বলেন, ‘কোভিড-১৯ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়ায় মেয়েদের অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমরা বিশ্বের নারীদের জন্য আন্তর্জাতিক কমিউনিটির কষ্টার্জিত অর্জনগুলো স্বীকার করি। আমরা আমাদের সমাজে নারীদের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো উদ্যাপন করি এবং ওই অর্জনগুলো যাতে সর্বত্র সব নারীর কাছে পৌঁছায়, সে জন্য আমরা প্রতিশ্রুতি দ্বিগুণ করি। কিন্তু সমতার জন্য লড়াই এখনো শেষ হয়নি। প্রকৃতপক্ষে কোভিড-১৯–এর আগেও আমাদের সময়ের সবচেয়ে ব্যাপক ও উল্লেখযোগ্য অবিচার হিসেবে লিঙ্গবৈষম্য টিকে ছিল। মহামারির প্রভাবে এই অবিচার কয়েক গুণ বেড়েছে।’
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমরা যখন কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের তৃতীয় বছরে প্রবেশ করছি এবং মহামারি-পরবর্তী সময়ের জন্য কাজ করছি, সে ক্ষেত্রে সত্যিকারের পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় অবশ্যই লিঙ্গসমতা থাকতে হবে। কোভিড-১৯ মেয়েদের জীবন ধ্বংস করছে। স্কুল বন্ধ, অর্থনৈতিক চাপ এবং পরিষেবার ব্যাঘাত সবচেয়ে অরক্ষিত মেয়েদের স্বাস্থ্য, সামগ্রিক কল্যাণ ও ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। বিশ্বব্যাপী ১ কোটি ১০ লাখের বেশি মেয়ে মহামারির পরে স্কুলে নাও ফিরতে পারে। আগামী এক দশকে আরও এক কোটি মেয়ে বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে আছে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) মতে, আরও ২০ লাখ নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতির শিকার হতে পারে।’