প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে সিরাজগঞ্জে চলনবিলের বিলের পানি কমতে শুরু করলে মাছ ধরার ধুম পড়ে যায়। তখনই উৎপাদন শুরু হয় শুঁটকি মাছের। বর্তমানে চলনবিলের পানি অনেকটা শুকিয়ে এসেছে। এখন বিস্তীর্ণ বিলজুড়ে চলছে ধান কাটাসহ অন্য ফসল রোপণের কাজ। বিলের নিচু জায়গায় বড় খালগুলোয় পানি থাকায় সেখানে সুতি জাল, বেড়জাল, পলো দিয়ে মাছ ধরছেন জেলেরা।
জালে ধরা মাছগুলো পাশেই অস্থায়ী বাঁশের ছাউনির চাতালে শুকানো হচ্ছে। আধুনিক পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে না হয়ে সনাতন পদ্ধতিতে উৎপাদন হচ্ছে শুঁটকি মাছ। ফলে থাকছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। এছাড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সিরাজগঞ্জের শুঁটকি শিল্প তেমন প্রসার লাভ করতে পারছে না। পাশাপাশি উৎপাদনকারীরাও কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না। এতে সরকারও হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখানে উৎপাদিত শুঁটকি স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়। মিঠাপানির এ শুঁটকির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে দেশ-বিদেশে। যে কারণে শুঁটকি উৎপাদনও বাড়ছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এ অঞ্চলের শুঁটকি রফতানি হচ্ছে ভারতে। বাণিজ্যিকভাবে ভারতে রফতানি হওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশেও দিন দিন কদর বাড়ছে মিঠাপানির এ শুঁটকির।