তবে কি আরও একটি স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হতে যাচ্ছে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ঘটনার দ্বিতীয় দিনে উভয় পক্ষ থেকে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, খুব শিগগিরই, যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের নিরাপত্তার বিষয়ে পশ্চিমা বিশ্বের যে দ্বন্দ্ব ও রাশিয়ার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক অবরোধ তা যদি প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও বিদ্যমান যে বৈরিতা তা কি আদৌ কমবে। নাকি আরও একটি স্নায়ু যুদ্ধ দেখতে যাচ্ছে বিশ্ব? রুশ হামলা ইউক্রেনের ওপর হলেও প্রকৃতপক্ষে তা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক হামলা। এই হামলা একাধিক বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে হাজির হয়েছে।
বিগত দুই দশকের মধ্যে রাশিয়া এই প্রথম সমরশক্তি প্রদর্শন করল। ১৯৮৯ সালে রুশ বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগের পর দেশটি সেভাবে সমরশক্তি প্রদর্শন করেনি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা বিগত কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে যেসব হামলা চালিয়েছে তা থেকে ভিন্ন নয়।