মেয়েটির বয়স মাত্র ১৫। এটা হচ্ছে সেই বয়স, মানুষ যখন মাত্র স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। স্বপ্নে সে দেখে সুন্দর এক পৃথিবী তার সামনে অপেক্ষমাণ, যে পৃথিবীতে সে সামান্য হলেও নিজের ক্ষুদ্র ছাপ রেখে যেতে হয়তো সক্ষম হবে। তবে ১৫ বছর বয়সের যে বালিকার প্রসঙ্গ এখানে টানা হচ্ছে, সেই বালিকা ছাপ রেখে যেতেই কেবল সক্ষম হয়নি, বরং একই সঙ্গে উন্মোচন করে দিয়েছে বয়স্ক মানুষের অহংকার, ঘৃণা আর প্রতিহিংসার মুখে এমনকি শিশুরাও যে কতটা অসহায় অবস্থায় পড়তে পারে, তারই বিশ্বাসযোগ্য এক ছবি।
হ্যাঁ, আমি কামিলা ভালিয়েভার কথা বলছি। ১৫ বছর বয়সে ফিগার স্কেটিংয়ের আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে সে দেখিয়ে দিয়েছিল আত্মপ্রত্যয়ের পাশাপাশি লক্ষ্য অর্জনে অটল থেকে গেলে প্রতিভার মাত্রা কোন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব। অন্যদিকে আবার এটাই সেই বালিকার জন্য শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দেখা দিয়েছিল। তবে সেই ট্র্যাজেডি অবশ্য একই সঙ্গে খেলার মাঠের বাইরে খেলা নিয়ে যেসব জঘন্য তৎপরতা নিয়মিত আমাদের চোখের সামনে চলছে, আংশিকভাবে হলেও তারই এক বিশ্বাসযোগ্য ছবি তুলে ধরছে।