দেশে যেভাবে শিক্ষার বিস্তার ঘটছে, সেভাবে উন্নত নৈতিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপিত হচ্ছে না। বরং কোনো কোনো শিক্ষিত মানুষের আচরণে আমরা হতাশ হই।
সসীমিত সুযোগ ও সামর্থ্যরে সদ্ব্যবহার করে আমাদের পূর্বপুরুষরা পরোপকারের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তুলনামূলক বেশি সুযোগ ও সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে আমরা তেমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারছি না।
প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সীমিত সামর্থ্যে অতীতের তুলনায় অল্প সময়ে অনেক বেশি মানুষের উপকার করা সম্ভব। প্রশ্ন হলো, আমরা কতজন এখন সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছি? উত্তরটা সবারই জানা। এখন সমাজের বেশিরভাগ মানুষ নিজেকে নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে।
বস্তুত আত্মকল্যাণে মগ্ন থাকার বিষয়টি বর্তমানে সারা বিশ্বে এক স্বাভাবিক প্রবণতা হিসাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সবার মনে রাখতে হবে, আমাদের যে গৌরবময় অতীত আছে, বিশ্বের অনেক জাতিরই এমন ঐহিত্য নেই। কাজেই আমাদের উচিত, আমাদের পূর্বপুরুষের মতো পরোপকারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা।