করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা থেকে শুরু করে মহাবিশ্বের উৎপত্তির রহস্য উন্মোচন- বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সব গবেষণায় ব্যবহৃত এই যন্ত্রের নাম সুপার কম্পিউটার। এসব কম্পিউটার সেকেন্ডে কোয়াড্রিলিয়ন (একের পর ১৫টি শূন্যযুক্ত সংখ্যা) গণনা করতে সক্ষম। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির বিশ্বে কে কার থেকে এগিয়ে থাকবে তা নির্ধারণ করছে এই সুপার কম্পিউটার।
সুপার কম্পিউটার নিয়ে বিশ্বব্যাপী এই প্রতিযোগিতার তালিকায় এবার নাম লেখাল আন্দালুসিয়ায় ইউনিভার্সিটি অব গ্রানাডা। স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি গত মঙ্গলবার আলাবাইসিন নামের নতুন একটি সুপার কম্পিউটার উদ্বোধন করে। কম্পিউটারটির প্রসেসিং ক্ষমতা ৮২২ টেরাফ্লপ। সেকেন্ডে এক ট্রিলিয়ন হিসাব সম্পন্ন করার ক্ষমতাকে এক টেরাফ্লপ বলে।
গবেষণা পরিচালনা করতে বর্তমানে দ্রুত গতির শক্তিশালী প্রসেসিং ক্ষমতাসম্পন্ন সুপার কম্পিউটারের বিকল্প নেই। সাধারণ কম্পিউটার দিয়ে এ কাজ সম্ভব নয়। একইসঙ্গে কয়েক লক্ষ প্রসেসরের সমন্বয়ে অপটিক্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের মধ্য দিয়ে নিমেষেই জটিল সব গাণিতিক সমস্যার সমাধান দিতে পারে এসব কম্পিউটার।