তালেবানবিরোধী আমেরিকার দীর্ঘ যুদ্ধে পাকিস্তান ছিল তাদের বড় মিত্র। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনারা চলে যাওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান এখন চীনের কক্ষপথে অবস্থান করছে। ওয়াশিংটন ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলামাবাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর এটি ঘটেছে। পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য ওয়াশিংটনে বাইডেন প্রশাসনের দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্তের পরে, ইসলামাবাদের বেইজিংয়ের কাছাকাছি আসা অনিবার্য ছিল।
২০২১ সালে আগস্টের শেষ দিকে আফগানিস্তান থেকে হঠাৎ আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের ফলে চীনের ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে, সেই সঙ্গে কিছুটা হলেও রাশিয়া-আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার কাছাকাছি এসেছে। আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের পরে কিছু পর্যবেক্ষক উল্লেখ করেছেন, তিনটি দেশ- রাশিয়া, চীন এবং পাকিস্তান পরিবর্তিত আফগানিস্তান পরিস্থিতির ইতিবাচক দিকে অবতরণ করেছে যেখানে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর বেশিরভাগ দেশ নিজেদের নেতিবাচক দিকে নিয়ে গেছে। এই পরিবর্তনগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে, পাকিস্তানের নীতিনির্ধারকদের জন্য চীনের কিছু অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।