মাননীয় অর্থমন্ত্রীর জন্য সুখবর। শুধু অর্থমন্ত্রী বলি কেন, আমাদের সবার জন্যই সুখবর, কারণ সুখবরটি অর্থনীতির জন্য। সারা বিশ্বসহ বাংলাদেশ যখন করোনা ও করোনা-পরবর্তী ওমিক্রনের অভিঘাতে বিপর্যস্ত, তখন আমাদের বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরা বসে নেই। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
সরকারের কথামতো তারা দেশে বিনিয়োগ করে যাচ্ছেন। এমনকি বিদেশে বিনিয়োগ করার জন্যও আগ্রহ দেখাচ্ছেন, যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সম্পর্কিত নীতিমালা করতে বাধ্য হয়েছে। দেশের ভেতরে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য, ব্যবসাকে প্রতিযোগিতামূলক করার জন্য সরকার ‘বাজার অর্থনীতির’ বাইরে গিয়ে সুদনীতিতে হস্তক্ষেপ করে। ঋণের ওপর সুদের হার আশাতীতভাবে কমানো হয়। এ মুহূর্তে ঋণের ওপর সুদের হার ৯ শতাংশ।
অবশ্য এটি করতে গিয়ে সঞ্চয়কারীদের ওপর বড় ধরনের আঘাত হানতে হয়েছে। এই দুর্মূল্যের বাজারে আমানতের ওপর সুদের হার এখন মাত্র ৬ শতাংশ। কার্যত আরও কম। প্রশ্ন, এই ৯-৬ সুদনীতির ফলে কি দেশে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে? বেসরকারি খাত কি বিনিয়োগে উৎসাহিত হচ্ছে, না এখনো তাদের দাবি-দাওয়া আছে?
বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে বা বাড়ছে কিনা, তা বছর শেষে বোঝা যাবে। শত হোক এখনো দেশে করোনাকালীন অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। সরকার ইতোমধ্যেই অর্ধেক জনবল দিয়ে সরকারি/বেসরকারি অফিস চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার পর দোকানপাট বন্ধের নির্দেশও জারি করা হয়েছে। দেশে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম জারি রয়েছে। টিকা দেওয়ার জন্য যোগ্যতার ক্ষেত্রে বয়স কমানো হয়েছে। জনজীবন এখনো সংকুচিত।