শহর-গাঁয়ে আজও দেখা যায় কোনও ব্যক্তিকে নিমন্ত্রণ না করলে সেই ব্যক্তি রাগ করে বহু লোক নিয়ে হাজির হন। উদ্দেশ্য খাবার স্বল্পতা তৈরি হয়ে অনুষ্ঠানকারীকে বিপদে ফেলা। এর বাইরে অবশ্য আরেক শ্রেণিও আছেন, যারা ব্যক্তিত্ববোধ নিয়ে নিজেদের ধরে রাখেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে গণতন্ত্র সম্মেলন নিয়ে নিমন্ত্রণ না পাওয়া বাংলাদেশ এই ব্যক্তিত্ববোধের কাতারে নিজেদের ধরে রেখেছে।
যদিও এই নিমন্ত্রণ না পাওয়া বা ডাক না পাওয়ায় অনেকেই মুখে কাপড় গুঁজে কিংবা টিপে টিপে হেসেছেন, মজা করেছেন। কিন্তু তারা হয়তো এটা জানেন না ‘ঐক্যবদ্ধ মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়ানোর’ আহ্বানে মুক্ত গণমাধ্যমও যুক্ত, এটিও সেই কাতারে পড়ে। সে হিসেবে ইরাক-আফগানিস্তানের স্পর্শকাতর তথ্য প্রকাশ করা জুলিয়ান আসেঞ্জকে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমা করা উচিত। সেটা কি তারা করছেন বা করবেন? আবার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পরিসংখ্যানে যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছেও নেই বাংলাদেশ।