মোহাম্মদ সুমন। একসময় কেরানীগঞ্জে গ্লাসের দোকানে কাজ করতেন। কারো সঙ্গে বনিবনা না হলেই গ্লাসের টুকরো বা ভাঙা অংশ দিয়ে যাকে তাকে আক্রমণ করতেন। এই থেকে এলাকায় তার নাম হয়ে যায় 'গ্লাস সুমন'। পরে কেরানীগঞ্জে গড়ে তোলেন মাদক ও সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট। যার নাম দেওয়া হয় 'গ্লাস কোম্পানি'।
এই গ্রুপের প্রধান হিসেবে কাজ করতেন সুমন। সম্প্রতি তার দলের কয়েক সদস্যকে মাদকসহ ধরিয়ে দেওয়ায় পুলিশের সোর্স নুরে আলম সায়মনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে সুমন বাহিনী। সায়মন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। হত্যার ঘটনায় সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সুমন গ্রুপের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বাহিনীটির দাবি, পুলিশকে মাদক কারবারিদের তথ্য দিয়ে গ্রেপ্তার করানোয় কেরানীগঞ্জের নুরে আলম সায়মনকে হত্যা করা হয়। হত্যার শিকার সায়মন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সুমন ওরফে গ্লাস সুমন, তার সহযোগী সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ, শরীফ ওরফে গরীব শরীফ, জনি ওরফে হর্স পাওয়ার জনি ও হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।